আমার ব্লগ তালিকা

ইসলামী মনীষিগণের সংক্ষিপ্ত জীবনি

=============================================
জীবনীগ্রন্থ 
=============================================
►রাসুল(সঃ)-এর জীবনকথা (সাইজঃ ১৮.০১ মে. বা.) 

►আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা) (সাইজঃ ০.২৯ মে. বা.)

► আর-রাহিকুল মাখতুম। নবী মুহাম্মাদ (সা)-এর জীবনী ভিত্তিক সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বই । 

► কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর জীবন নিয়ে নবীদের কাহিনী-১ম খন্ড 

► নবীদের কাহিনী 

Click This Link target='_blank' >► নবীদের কাহিনী-২য় খন্ড 

► নবীর জীবনী নিয়ে ছোট একটি বই। "নবীর জীবনী" 

► সাহাবায়ে কেরামের গল্প 

► ইমাম আবু হানীফা (রহ)-এর জীবনী 

http://www.mediafire.com/?0x102943hc16ac6' target='_blank' >► ইমাম মালিক (রহ)-এর জীবনী 

► ইমাম শাফেয়ী (রহ)-এর জীবনী 

► ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের জীবনী 

► চার ইমামের জীবনী 

►ইমাম বুখারীর জীবনী 

► ইমাম মুসলিম (রহ)-এর জীবনী 

►খোলাফায়ে রাশেদীন চার খলিফার জীবনী 

►ইমাম গাজালী (রহ)-এর জীবনী 

► খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা)-এর জীবনী 

► নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবনী 

Click This Link target='_blank' >► প্রিয় নবীর কন্যাগণ 

► শহীদের মেহরাব উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) এর জীবনী 

► মুসা আল খাওয়ারেজমীর জীবনী 

► আবূ হুরায়রা (রা)-এর জীবনী 

http://www.mediafire.com/?eddk32ltveytxfx' target='_blank' >► ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ (রহ)-এর জীবনী 

► মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম 

► শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব এর জীবনী 

► শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-এর জীবনী 

► মাওলানা আকরম খাঁ 

► জাবির ইবন হাইয়্যান 

► আল-বিরুনী 

►ইবনে সীনা 

► জাকির নায়েকের জীবনী 

► যায়নাব বিনতে খুজায়মা (রা) 

► ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া (রা) 

► ভন্ড সূফী মানসূর হাল্লাজের জীবনী 

[link|http://islaminonesite.wordpress.com/2013/10/09/biography-of-salim-ibn-abdillah-bangla/|► সালিম ইবন আবদিল্লাহ [ রাসূল (সা)-এর সাহাবী ]] 

► আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) এর জীবনী 

► মহাবীর খালেদ এর জীবন নিয়ে নাটক 

Click This Link target='_blank' >► আহমাদ দীদাতের জীবনী 

► মহিলা সাহাবী শিফা বিনতে আবদিল্লাহ 
মুফতি ফযলুল হক আমীনী রহঃ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

১৯৪৫ সালের ১৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত আমিনপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ ওয়ায়েজ উদ্দীন ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আবেদ। মাতা মোসাম্মাৎ ফুলবানুন নেছাও ছিলেন একজন ধার্মিক গৃহিণী।শিক্ষাজীবনবি-বাড়ীয়া জামেয়া ইউনুসিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষে মুফতি আমিনী মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন বিক্রমপুরের মোস্তফাগঞ্জ মাদরাসায় তিন বৎসর পড়াশুনা করেন। তারপর উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৬১ সনে রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসায় চলে আসেন। এখানে তিনি হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. ও হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ইসলামি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদ লাভ করেন। ১৯৬৯ ইংরেজি সনে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ.-এর কাছে হাদিস ও ফেকাহ্ তথা ইসলামি আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান করাচি নিউ টাউন মাদরাসায় গমন করেন। সেখানে তিনি উলুমুল হাদিস ও ইসলামি আইনের ওপর বিশেষ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।কর্মজীবন১৯৭০ সালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত নূরিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। ওই বছরই তিনি হজরত হাফেজ্জী হুজুরের প্রস্তাবে তার কন্যার সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর হাফেজ্জী হুজুরের পরামর্শেই মাত্র ৯ মাসে পবিত্র কুরআন হেফজ করেন। ১৯৭২ সালে আলু বাজার জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সেখানে একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সালে জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগের শিক্ষক ও সহকারী মুফতি নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে পর্যায়ক্রমে লালবাগ জামেয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করেন। ১৯৮৪ সালে লালবাগ জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতির দায়িত্ব পান।১৯৮৭ সালে হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি লালবাগ জামেয়ার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসনে এবং মাদরাসার মূল্যবান সম্পত্তি দখলমুক্ত ও সংরক্ষণের জন্য এলাকাবাসী ও ছাত্র-শিক্ষকদের একযোগে অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ২০০৩ সালে বড়কাটারা হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও মুতাওয়াল্লির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক এই রাহবার একই সঙ্গে এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত সুচারুরূপে পালন করেন। মুফতি আমিনী লালবাগ ও বড়কাটারার পাশাপাশি কাকরাইল দারুল উলুম ঢাকা, দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া দাউদকান্দি কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া মাদরাসাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু মাদরাসার প্রধান অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।রাজনৈতিক কর্মধারাইসলামি আইন ও আদর্শের বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল মুফতি আমিনীর সরব পদচারণা। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আলেম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল সরব ও সোচ্চার কণ্ঠ হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। হযরত হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে ১৯৮১ সালে খেলাফত আন্দোলন গঠিত হলে তিনি মনোনীত হন এ সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল। ১৯৮৭ সালে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর ইন্তিকালের পর তিনি দেশে অধিকাংশ ইসলামি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব পুরুষের ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। ১৯৯২ সনে বাবরী মসজিদ লংমার্চসহ ১৯৯৪ সনে নাস্তিক মুরতাদবিরোধী আন্দোলনের তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। এছাড়াও ওলামা কমিটি, জমিয়াতুল আনসার, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, ইসলামী মোর্চার মত বিভিন্ন কমিটি ও শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার অচিন্তনীয় সাংগঠনিক দক্ষতার প্রকাশ ঘটেছে এবং তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশসেরা সংগঠক হিসেবে। মৃত্যুকালে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির, ওলামা কমিটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির এবং আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা চারদলীয় জোট পরবর্তীতে আঠার দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান রূপকার ও শীর্ষ নেতা ছিলেন। ’৯৭-এ চারদলীয় জোট গঠনের মধ্য দিয়ে তিনি জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।২০০১ সনে হাইকোর্ট থেকে ‘সব ধরনের ফতোয়া অবৈধ’ সংক্রান্ত কুরআন-হাদিস বিরোধী রায় ঘোষিত হবার পর তিনি প্রথম গর্জে উঠেছিলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতিকে শরিয়তের আলোকে মুরতাদ ঘোষণা করেছিলেন। আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের কোপানলে পড়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। দীর্ঘ চার মাস তিনি কারা নির্যাতন ভোগ করেন। ২০০১ সনে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে বি. বাড়ীয়া-২ (সরাইল ও সদরের আংশিক) নির্বাচনী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।২০১১ সালে আওয়ামী সরকার কুরআন-সুন্নাহবিরোধী নারী উন্নয়ন নীতিমালা, ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলে তিনি এর প্রতিবাদে দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওই বছরের ৪ এপ্রিল তার ডাকে দেশব্যাপী নজীরবিহীন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়। এতে করে তিনি আবারও ইসলামবিদ্বেষী আওয়ামী সরকারের চরম রোষানলে পড়েন।দেশব্যাপী তার প্রতি তৌহিদী জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন থাকায় তাকে সরাসরি কারারুদ্ধ করতে না পেরে সরকার নিরাপত্তার নামে তাকে গৃহবন্দী করে। প্রায় দীর্ঘ ২১ মাস মৃত্যু অবধি গৃহবন্দী ছিলেন।রচিত গ্রন্থাবলিহাদিস পড়ানো আর আন্দোলনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তার রচনাবলিও ছিলো একাধিক। তার লিখিত উল্লেখযোগ রচনাবলি হলোÑ ১. দরসুল বুখারি লিসালাফিনাল আকাবির (আরবি), ২. আল কানূনুল ইসলামি দামিগুন লিল কানূনিল ওয়াজয়ি আরবি, ৩. সাল্ফ ও আকাবির কা তরিকে মুতালাআ (উর্দু), ৪. ফাতাওয়ায়ে জামেয়া, ৫. কারবালার শিক্ষা, ৬. আল্লাহর পথে, ৭. আদর্শ ছাত্র ইত্যাদি।ইন্তেকালবর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই আলেম ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে প্রিয় প্রভুর সান্নিধ্যে পাড়ি জমান। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় ঈদগাহে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন লালবাগ মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস, মুফতি আমিনী রহ.-এর দীর্ঘকালীন সহপাঠী ও সহকর্মী মাওলানা আবদুল হাই সাহেব। তাকে দাফন করা হয় তার ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনের প্রিয়ভূমি লালবাগ জামেয়া সংলগ্ন লালবাগ শাহী মসজিদের সংরক্ষিত কবরস্থানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন